ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১২/১২/২০২৪ ১:৫৭ পিএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী চুমকি কারণকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে এ আবেদন করা হয়েছে।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর দুদকের দায়ের করা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী চুমকি কারণকে জামিন দেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে চুমকির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এই হত্যা মামলায় প্রদীপসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এর মধ্যে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়। তদন্তের পর টাকার অঙ্কে কিছু পরিবর্তন আনা হয়।

২০২১ সালের ২৮ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর আসামি প্রদীপের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। সম্পদ বিবরণীতে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়।

২০২২ সালের ২৭ জুলাই এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকি কারণকে ২১ বছর কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদ। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় চুমকিকে এক বছর কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাস কারাদণ্ড, ২৭ (১) ধারায় প্রদীপ ও চুমকিকে ৮ বছর কারাদণ্ড, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় প্রদীপ ও চুমকিকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ৪ কোটি টাকা জরিমানা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় প্রদীপ ও চুমকিকে ২ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২ মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। প্রত্যেক কারাদণ্ড একসঙ্গে চলবে। এ মামলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ মামলায় দুদকপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা করেন।

মামলার শুরু থেকে চুমকি কারণ পলাতক থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেই থেকে কারাবন্দি চুমকি কারণ

পাঠকের মতামত

ওসি বললেন প্রমাণ কি আছে আপনার.. কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি

শাহপুরী হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে কক্সবাজার -টেকনাফ সড়কে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। রাতে ছাড়াও ...

রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত জুলি বিশপ। দীর্ঘ ...

পশ্চিম ডিগলিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও বনভোজন সম্পন্ন

উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের অন্তর্গত পশ্চিম ডিগলিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও বনভোজন ...